ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই অবাধে বিক্রি হচ্ছে দেশি-বিদেশি ওষুধ
বুধবার ৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৩০

:: মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ::
মানিকগঞ্জ জেলার উপজেলা গুলোর হাট- বাজারে অনুমোদনবিহীন বিভিন্ন ফার্মেসিতে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই অবাধে বিক্রি হচ্ছে দেশি-বিদেশি ওষুধ। অভিযোগ রয়েছে, এসব দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ, নকল এবং নিম্নমানের ওষুধ ও বিক্রি করা হয়। ফলে হুমকির মুখে পড়ছে এ উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। জানা যায়, চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রি আইনগত নিষিদ্ধ হলেও তা মানছেন না উপজেলার বেশির ভাগ ফার্মেসির মালিকরা। এসব ফার্মেসি থেকে সহজে কেনা যায় ঘুম ও নেশাজাতীয় তরল পদার্থের ওষুধ। এখানে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কিনতেও কারো কোনো বেগ পেতে হয় না।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, জেলার সব উপজেলার বাজারে গুলোতে কম বেশি ফার্মেসি রয়েছে এগুলোর মধ্যে অধিকাংশেরই নেই ড্রাগ লাইসেন্স। আবার ড্রাগ লাইসেন্স থাকা ফার্মেসিগুলোও ওষুধ প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া শর্ত যথাযথভাবে অনুসরণ করেন না। চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এখানকার ফার্মেসি ব্যবসায়ীরা তা মানেন না। এদিকে অনেক ওষুধ দোকানদার ডাক্তার সেজে বিভিন্ন ধরনের জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। ব্যবস্থাপত্রে লিখছেন অ্যান্টিবায়োটিকসহ অনেক জটিল রোগের ওষুধ। আবার কেউ কেউ অপারেশনের মতো জটিল কাজ করতেও দ্বিধা করেন না। অথচ দেখা গেছে, এদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতাও নেই। অধিকাংশ ফার্মেসিতে ফার্মাসিস্ট না থাকায় অল্প শিক্ষিত লোক দিয়ে চলছে ব্যবসা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এমন কি জীবনও বিপন্ন হতে পারে। অভিজ্ঞ জনদের মতে, ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রির জন্য কঠোর শাক্তিমূলক ব্যবস্থা না থাকায় উচ্চ মাত্রার ওষুধ বিক্রি করছেন দোকানদারগণ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) অ্যাক্টের ২৯ (১) অনুযায়ী, নূন্যতম এমবিবিএস বা বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না। এ ছাড়া অ্যাক্টের ১৮ (১) ধারা অনুযায়ী, বৈধ কোনো ডাক্তার ছাড়া অন্য কেউ ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে দিলে সে জন্য দুই বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে।
এমএসি/আরএইচ