অধিকার বাবুদের পকেটে;কর্তব্য আকাশে

মঙ্গলবার ৩ জানুয়ারী ২০২৩ ১০:০৩


সত্যজিৎ দাস:
অধিকার ও কর্তব্য বিষয়টি একে অপরের সাথে সম্পৃক্ত। কোনাে কিছু পাওয়ার বা কোনাে কাজ করার যুক্তিসঙ্গত দাবিকে অধিকার বলা হয়। কিন্তু হিন্দু সমাজে স্ত্রী,পুত্র,কন্যা যতোই ধুয়া তুলসীপাতা হউক না কেনো,স্বামী/পিতা মারা না যাওয়া পর্যন্ত ঐখানে অধিকারের কোন স্থান নেই। অধিকার ভােগ করার পর মানুষের কতগুলাে কর্তব্য পালন করতে হয়। তবে জমিদার পুত্র বলে কথা,রঙিন দুনিয়ার সব কুকাজ জমিদার পুত্র উত্তম রুপে রপ্ত করেছেন ও তার সাথে যোগ দিয়েছেন তার শহরী বাবু-ম্যাডাম ভাই ও বোনেরা। 
অধিকার এবং কর্তব্য উভয় নৈতিকবাধ্যবাধকতার সাথে জড়িত,তা তারা উচ্চ শিক্ষিত ও স্মার্ট বলে,ডুবায় ফেলেছেন অনেক আগেই।ঐদিকে হিন্দু সমাজের তথাকথিত নেতারা উনাদের সাথে তাল মিলিয়েও চলেন। দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে অধিকারকে ঐ পিতা,কাকা,জেঠারা ব্রাহ্মণের পৈতার ন্যায় ব্যবহার করে আসছেন। অধিকার ও কর্তব্য পরস্পর নির্ভরশীল হওয়ায় পিতা,কাকা,জেঠা ইঁদুরের মতো চুপিসারে এসে নিজের ও ঐ বঞ্চিত স্ত্রী,পুত্র,কন্যার অধিকারও মুড়ির নাড়ু বানিয়ে পাশের বাড়ীর অহিন্দুদের নিকট লুকিয়ে বিক্রি করে চলে যায়। 
অধিকার ও কর্তব্য একটি বিষয় অপরটির সাথে স্পষ্টভাবে জড়িত তো,তাই তিনটি অসহায়ের অধিকার গুলো দিবালোকে বাবুদের পকেটে ঢুকতে সফল হলো। অধিকার মানুষ সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে লাভ করে বৈকি। রাষ্ট্রটা হলো বাংলাদেশ,তারওপর সনাতন ধর্মালম্বী হিন্দু! সমাজ ও রাষ্ট্রপ্রধান নড়বড়ে হিন্দু আইন নিয়ে বসে আছেন শতাব্দী ধরে। 
ঐদিকে স্কুল/কলেজ/বিশ্বিবদ্যালয়ে পড়ানো হয় অধিকার লাভ করলেই মানুষ কর্তব্য পালনে এগিয়ে আসে। তাও রয়ে গেলো পুস্তক ও শিক্ষকের বাক্যে। চিরন্তন সত্য হলো হিন্দু আইন পরিবর্তনের বিপক্ষে যারা আজ বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন,তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জমিদার টাইপের নষ্ট বাবুদের কুকার্যকলাপের পক্ষে এবং অসহায়,নিপীড়িত,দুঃখিনী নারীর বিপক্ষে। 
এতোকিছুর পর শত কষ্ট সহ্য করেও হিন্দু নারীগণ নিজ ধর্ম ও কর্তব্য পালন করছেন যথাযথভাবে;যেমন,১৪-১৫ বছর ধরে স্বামী কোন খোঁজ খবর রাখেনা,তবুও হিন্দু নারীগণ সিঁথিতে সিঁদুর লাগাতে ভুলেন না। একদিন এই হিন্দু সমাজ ধ্বংস হবে ঐ রাষ্ট্র প্রধান,হিন্দু নেতা ও মদ-বডিস্প্রের সম্মিলিত বাবুদের কারণে। অধিকার ও কর্তব্য উভয় একে অপরের পরিপূরক। একটি ছাড়া অন্যটি অচল প্রায়। অধিকার লাভ করা ছাড়া,কর্তব্য পালন সম্ভব নয়।

এমএসি/আরএইচ